ডেস্ক রিপোর্ট-ভারত সফররত বাংলাদেশ প্রধামন্ত্রীর এক সহযোগী বলেছেন যে ভারতের বিতর্কিত ইসলাম প্রচারক জাকির নায়েক কখনো বাংলাদেশে ঢুকতে পারবেন না। এ প্রশ্নে নয়া দিল্লিকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন ভারতের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন এমন কোন উপাদানকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
রোববার নয়া দিল্লিতে ‘বাংলাদেশ-ভারত: ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক প্রেক্ষাপট।’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার পর হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসাইন তৌফিক ইমাম (এইচ টি ইমাম) বলেন, নায়েক কখনো বাংলাদেশ ঢুকতে পারবে না এবং বাংলাদেশ এ বিষয়ে সবসময় ভারতকে সহযোগিতা করে যাবে।
ঢাকার হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানো অন্তত দু’জঙ্গি নায়েকের বক্তব্যে উদ্ধুব্ধ হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ উঠার পর থেকে ভারতীয় এই ইসলাম প্রচারক দেশটির কর্তৃপক্ষের নজরে রয়েছেন।
ভারতের এনআইএ নায়েকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে উষ্কানি দেয়া ও অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে।
২০১৬ সালে এনআইএ প্রথম সন্ত্রাস-দমন আইনে নায়েকের বিরুদ্ধে মামলা করে। এর জের ধরে মুম্বাইয়ে জাকির নায়েকের ফাউন্ডেশনসহ ১০টি স্থানে তল্লাশি চালায় এনআইএ ও পুলিশ। এই ফাউন্ডেশন বিদেশ থেকে তহবিল আনতে পারবে না বলে আগে থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
৫২ বছর বয়সী নায়েক আগেই মালয়েশিয়া চলে যান এবং সেখানে স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা লাভ করেন।
ভারত সরকার মালয়েশিয়া থেকে নায়েককে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও দেশটি এতে সায় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে চলতি সপ্তাহে মিডিয়ার খবরে উল্লেখ করা হয়। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহথির মোহাম্মদ সাফ জানিয়ে দেন যে যতদিন তিনি (নায়েক) কোন সমস্যা সৃষ্টি না করছেন ততদিন তাকে দেশ থেকে বহিস্কার করা হবে না।
এই খবর প্রকাশের পর নায়েকও এক বিবৃতিতে জানান, ‘অন্যায্য বিচার থেকে নিরাপদ বোধ না করা পর্যন্ত’ তিনি ভারতের ফিরে যাবেন না।
নায়েককে ফেরত পাঠাতে গত জানুয়ারিতে মালয়েশিয়াকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করে ভারত। দুই দেশের মধ্যে বহি:সমর্পন চুক্তি রয়েছে।
পাঠকের মতামত